স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা আটকে যেতে পারে! কাজটি আগে করুন

পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় সরকারি স্কলারশিপ হলো স্বামী বিবেকানন্দের স্কলারশিপ বা বিকাশ ভবন স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ মেধাবির ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারের তরফে অর্থ সাহায্য পেয়ে থাকে। তাই এই স্কলারশিপের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের নতুন আবেদন এবং রিনিউয়াল দুটোই একসঙ্গে চলছে।

আগে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আবেদন পত্র বিকাশ ভবনে গিয়ে দিয়ে আসতে হতো। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে যাওয়ায়, ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক সুবিধা হয়েছে। আবেদন অনলাইনে হলেও স্কুলে ও কলেজের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম আগের মতনই রয়ে গেছে। যে নিয়মটি অনেক পড়ুয়ারাই জানেনা। আর এই কারণের জন্যই বহু ছাত্র-ছাত্রীর স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের অর্থ পেতে ব্যার্থ হয়। আবার অনেকের স্কলারশিপের টাকা ঢুকতে ঢুকতে বন্ধ হয়ে যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, স্কুল বা কলেজের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের কি ধরনের নিয়ম রয়েছে? 

স্কুল বা কলেজের ক্ষেত্রে নিয়ম – স্কলারশিপের টাকা নিশ্চিত ভাবে পাওয়ার জন্য অনলাইন আবেদন করার পরেও স্কুল বা কলেজের তরফ থেকে একটি ভেরিফিকেশন করিয়ে নেওয়া আবশ্যক। যেহেতু এই স্কলারশিপের পুরো বিষয়টি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। তাই আলাদা করে স্কলারশিপের আবেদন পত্র কলেজে জমা দিতে হয় না। কেবলমাত্র আবেদন পত্রের জেরক্স কপি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে ভেরিফিকেশন করার জন্য জমা করতে হয়।

বেশিরভাগ পড়ুয়ারা কেবল অনলাইনে আবেদন করেই স্কলারশিপের টাকা পেয়ে যায়। তবে আবেদনের সঠিক নিয়ম এটি না। অনেক সময় প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন করার পরেও টাকা পায় না। এক্ষেত্রে তারা যদি স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষ মারফত স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আবেদন পত্রটি ভেরিফাই করে নেয়, তাহলে স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিয়মটি উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট মারফত ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা রয়েছে।

তবে এটা সত্য যে অন্য অনেক কারণের জন্যও ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপের টাকা পায় না। তা হতে পারে আবেদন করার সময় ভুল তথ্য দেওয়া, ডকুমেন্টে কোন ভুল ত্রুটি থাকা বা ব্যাংক একাউন্টে সমস্যা। তবে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আবেদন করার সঠিক নিয়ম হলো প্রথমে অনলাইনে আবেদন করা, তারপর সেই আবেদন পত্র স্কুল বা কলেজ কতৃক ভেরিফাই করা।

কত তারিখের মধ্যে স্কুল বা কলেজে ফর্মটি জমা করতে হবে? এর জন্য এখনও কোন নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়নি। স্কুল বা কলেজ মারফত এই তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। তোমরা যারা ইতিমধ্যেই এই স্কলারশিপের আবেদন করে ফেলেছ, তারা সত্তর কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফর্ম জমা দেওয়ার ডেট জেনে নাও।

বিঃদ্রঃ স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ অথবা নতুন আরও স্কলারশিপ, শিক্ষা ও চাকরি সংক্রান্ত আরো খবর পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলটি অনুসরণ করুন।

Join Our Telegram groupClick Here

Join Our Whatsapp GroupClick Here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button