ষোড়শ মহাজনপদ ও তাদের রাজধানী এবং বর্তমান অবস্থান | ষোড়শ মহাজনপদ PDF
![ষোড়শ মহাজনপদ ও তাদের রাজধানী এবং বর্তমান অবস্থান | ষোড়শ মহাজনপদ PDF](https://wbexamguide.com/wp-content/uploads/2023/10/16-mahajanapadas-details-in-bengali-pdf-download-1.jpg)
আপনারা যারা কম্পিটিটিভ এক্সাম এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য ষোড়শ মহাজনপদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক। কারণ, এই টপিকটি থেকে একাধিকবার বিভিন্ন কম্পিটিটিভ এক্সাম এর প্রশ্ন এসেছে। বিশেষ করে যারা WBCS Prelims and Main Exam, WBPSC Food SI, SSC GD constable, ICDS exam ও অন্যান্য কম্পিটিটিভ এক্সামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁদের জন্য এই টপিকটি বিশেষ সহযোগিতা করতে চলেছে।
মহাজনপদের নাম | রাজধানী | বর্তমান অবস্থান |
গান্ধার | তক্ষশীলা | রাউলপিন্ডি ও কাবুলের মধ্যবর্তী স্থানে ( উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ) |
অস্মক | পাটনা | পৈঠান ( মহারাষ্ট্রে গোদাবরী নদীর তীরে) |
অবন্তী | উজ্জয়িনী | বর্তমান মালব অঞ্চল (মধ্যপ্রদেশ) |
চেদি | শুক্তিমতি | বর্তমান বুন্ডেলখন্ড অঞ্চল |
কুরু | হস্তিনাপুর/ ইন্দ্রপ্রস্থ | বর্তমান হরিয়ানা ও দিল্লি/ যমুনা নদীর পশ্চিমে |
বৃজি | বৈশালী | গঙ্গা নদীর উত্তরে অবস্থিত (বিহারে) |
কাশি | বেনারস | বারাণসী (উত্তর প্রদেশ) |
মগধ | গিরিব্রজ রাজগৃহ | বর্তমান রাজ্য গয়া, পাটনা, সাহবাদের কিছু অংশ |
কম্বোজ | রাজপুর | কাশ্মীর |
বৎস | কৌশাম্বি | এলাহাবাদ ও মির্জাপুর জেলা |
সুরসেন | মথুরা | মথুরা |
মল্ল | কুশিনারা, পাবা | গোরক্ষপুর |
মৎস্য | বিরাট নগরী | ভরতপুর, জয়পুর, আলওয়ার (রাজস্থান) |
অঙ্গ | চম্পা | বিহারের মুঙ্গের এবং ভাগলপুরে |
কোশল | শ্রাবন্তী | ফাইজাবাদ |
পাঞ্চাল | অহিচ্ছত্র | রোহিলখন্ড এবং উত্তর প্রদেশের দোহাবে |
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে ষোড়শ মহাজনপদ গড়ে উঠেছিল। ষোড়শ মহাজনপদের রাজ্য সম্বন্ধে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থ ‘অঙ্গুত্তর নিকায়’ থেকে জানা যায়। ষোড়শ মহাজনপদের সমস্ত পদ গুলি অস্ত্রশস্ত্র যুদ্ধ এবং কৃষি কাজের জন্য ব্যবহার করত। সময় সঙ্গে সঙ্গে ছোট এবং দুর্বল রাজ্যগুলি বড় রাজ্যগুলির সাথে মিলিত হয়ে মোট চারটি রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। (১). অবন্তী (২). বৎস (৩). মগধ (৪). কোশল। ষোড়শ মহাজন পদের মধ্যে অস্মক কেবলমাত্র দক্ষিণাত্যের রাজ্য ছিল।
বৎস: রাজ্য রাজ্য কৌশাম্বিতে স্থানান্তরিত হয়। পরে বৎস রাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল। দানের মৃত্যুর পর বৎসরাজ্য অবন্তি রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে পড়েছিল।
অবন্তী: প্রদ্যুত্ত ছিল অবন্তী রাজ্যের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শাসক। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। পরে তার রাজ্য অবন্তি মগধের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে পড়েছিল।
কোশল: কোশল রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় শাসক ছিল প্রসেনজিৎ। প্রসেনজিতের বোনের সঙ্গে মগধের রাজা বিম্বিসারের বিয়ে হয়েছিল এবং যৌতুক হিসেবে কাশি রাজ্যকে মগধের অংশ করা হয়েছিল। প্রসেনজিতের মৃত্যুর পর কোশল মগদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল।
মগধ: ষোড়শ মহাজনপদের মধ্যে সব থেকে শক্তিশালী রাজ্য ছিল মগধ (উত্তর ভারতের)। মগধের প্রতিষ্ঠাতা জরাসন্ধ।
পরীক্ষার প্র্যাকটিস সেট, মক টেস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রুপ এবং Telegram Channel এ যুক্ত হন।
Join Our Telegram group – Click Here
Join Our Whatsapp Group – Click Here