সরকারী চাকরী পাওয়ার পরেও ছেড়ে দিল ৬২২ জন! তাও আবার একই জেলার, কেন?
![সরকারী চাকরী পাওয়ার পরেও ছেড়ে দিল ৬২২ জন! তাও আবার একই জেলার, কেন?](https://wbexamguide.com/wp-content/uploads/2023/11/primary-teacher-job-622-candidates-in-south-24-parganas-not-join-after-get-appointment-letter.jpg)
কথায় বলে, ভগবানকে ডাকলে মেলে তবে সরকারী চাকরি মেলে না। তবে, সেই চাকরি পেয়েও কেউ ছাড়তে পারে? উত্তরটা, হ্যাঁ। এমন আশ্চর্য ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালে টেট পরীক্ষার উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫০৬ জন যোগ্য প্রার্থীকে গতবছরের নভেম্বরে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ১৫০৬ জনের মধ্যে থেকে ৬২২ জন প্রার্থী নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেও প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগদান করেননি। কিন্তু কেন?
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়েছিল, নানান নিয়ম না মানার অভিযোগে। সেবছর অর্থাৎ ২০০৯ সালে যে সকল চাকরি প্রার্থীদের ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছিল, বিভিন্ন জটিলতা কাটবার পর ২০১৪ সালে তাঁদেরকে ফের একবার পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রায় আট হাজারের মতো ২০০৯ সালের প্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন সে বছর।
সেই ভাইভা নেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালের মে মাসে। রাজ্য শিক্ষা দফতরে চূড়ান্ত প্যানেল জমা দেওয়ার পরেও নানান কারণে বারবার মামলা করা হয় এবং শেষমেষ আর তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। শেষপর্যন্ত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আদালতের নির্দেশানুসারে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার ১৫০৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
কিন্তু দেখা গেল, তার মধ্যে ৬২২ জন প্রার্থী যোগ দেননি। মনে করা হচ্ছে, এত দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় অন্য কোথাও কাজ পেয়ে গেছেন। তাহলে এই শূন্য পদগুলোর কি হবে? সূত্রের খবর অনুসারে, ওয়েটিং লিস্টের ক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নিয়োগ হতে পারে তবে সেটাও আদালতের নির্দেশাধীন।
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, নোটস, প্রাকটিস সেট ও অন্যান্য শিক্ষা সংক্রান্ত আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ও টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হন।
Join Our Telegram group – Click Here
Join Our Whatsapp Group – Click Here