IAS Success Story: ছাগল চড়িয়ে পরিবার চলতো, ৮ম বারের প্রচেষ্টায় অবিশ্বাস্য নজির রামভজনের!

দেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং এবং কাঙ্খিত পরীক্ষা হল — ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)। চোখে স্বপ্ন এবং অন্তরে কঠোর পরিশ্রমের সংকল্প নিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার ছেলেমেয়ে এই পরীক্ষায় বসে। উর্ত্তীর্ণ খুব কম সংখ্যকই হয়। তাদের রক্তঘাম ঝরানো পরিশ্রমের কথা কম বেশি আমরা সকলেই জানি বা আন্দাজ করতে পারি। কিন্তু রাজস্থানের রামভজনের কাহিনী কিছু অন্যরকম।

রাজস্থানের প্রত্যন্তবাপী গ্রামের বাসিন্দা রামভজন কুমহারার মাথার ওপর ছাদটুকুও ছিল না। মাকে নিয়ে কঠিন দারিদ্রের মধ্যে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হত তাঁদের। কিন্তু দু’চোখে ছিল স্বপ্ন। শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে অমানুষিক পরিশ্রম এবং মেধার ফসল অবশেষে ফলাতে পেরেছেন রামভজন। UPSC-তে 667 Rank করে দেখিয়ে দিতে পেরেছেন, অদম্য মনোবল আর ইচ্ছেশক্তির সামনে পর্বতসমান বাধাও চূর্ণ হয়ে যায়।

রামভজনের পারিবারিক পেশা ছিল ছাগল প্রতিপালন এবং ছাগলের দুধ বিক্রি। কোভিডে তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁদের জীবনধারণ খুবই কঠিন হয়ে যায়। UPSC-তে এই অভাবনীয় সাফল্যের অধিকারী রামভজনের দৈনিক কাজ ছিল 25 কার্টন ইঁট সরানো এবং দৈনিক আয় ছিল 5 থেকে 10 টাকা।

দিনে ঘন্টার পর ঘন্টা পাথর ভাঙতেন‌ রামভজন‌ আর তাঁর মা পাথর সরাতেন। প্রথমে রামভজন দিল্লীতে পুলিশ কনস্টেবলের পোস্টে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর শুরু হয় তাঁর আর এক লড়াই । UPSC -র প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন তিনি। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর অষ্টম বারের প্রচেষ্টায় আসে সাফল্য। রামভজন কুমহারা 2022-এর UPSC পরীক্ষায় সসন্মানে উর্ত্তীর্ণ হন 667 rank -এ এবং অর্জন করেন IAS অফিসারের পদ।

রামভজনের এই কাহিনী এক অনন্য অনুপ্রেরণার গল্প যা রূপকথার মতো শুনতে হলেও আসলে এক অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনা। নশ্বর পৃথিবীতে এরকম লড়াইয়ের গল্পগুলোই তো আমাদের প্রতি মূহুর্তে অনুপ্রেরণায় উদ্দীপিত করে, আশা সঞ্চার করে ভগ্ন হৃদয়।

বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, নোটস, প্রাকটিস সেট ও অন্যান্য শিক্ষা সংক্রান্ত আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ও টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হন।

Join Our Telegram groupClick Here

Join Our Whatsapp GroupClick Here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button